রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ মাহফুজ, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) কালের খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে পৈতৃক সম্পত্তি ও জমি আছে ঘর নেই প্রকল্প থেকে সরকারি ঘর পাওয়া সত্ত্বেও ভূমিহীন দেখিয়ে পূণরায় দেওয়া হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ও জমি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিতরণে এমন স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার লাকি আক্তারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, লাকি মেম্বারের ছোট বোন শিল্পী আক্তার তার বাবার বাড়িতে বসবাস করেন। পৈতৃক সম্পত্তি থাকার পরও প্রায় ৭ বছর পূর্বে জমি আছে ঘর নেই এই প্রকল্প থেকে ঘর পেয়েছেন শিল্পী আক্তার৷ তারপর থেকে তিনি সেই ঘরে বসবাস করে আসছেন। সরকারি ঘর থাকা সত্ত্বেও লাকি মেম্বার স্বজনপ্রীতি করে তার বোন শিল্পী আক্তারকে আবারও কাইতলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের তিনে ঘর দিয়েছেন। ঘর বরাদ্দ দেওয়ার আগে ইউএনও ও তহশিলদার সম্ভাব্য সুবিধাভোগীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। শিল্পী আক্তারের পৈতৃক সম্পত্তি ও সরকারি ঘর থাকা সত্ত্বেও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাই কীভাবে জানান গ্রামবাসী৷
শিল্পী আক্তার বলেন, আমি আমার বাবার বাড়িতে বসবাস করি। আমি খুবি অসহায়। তাই সরকারি ঘর পেয়েছিলাম। তবে এই যায়গা আমার মায়ের নামে দলিল। আমার নামে যায়গা না থাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম। ঘর পেলেও সেই ঘরে এখনো যায়নি। এখন আমি সেই ঘরে যাবো না, অন্য কাউকে দিয়ে দিবো। পূর্বে সরকারি ঘর থাকা সত্ত্বেও পূণরায় ঘরের জন্য আবেদন করলেন কেন? এই প্রশ্নের জবাবে শিল্পী আক্তার বলেন আমার ভুল হয়েছে বুঝতে পারি নাই।
মহিলা মেম্বার লাকি আক্তার বলেন, আমি ও আমার বোন আমরা বাবার বাড়িতে থাকি। আমার বোন যখন অসহায় ছিল তখন প্রায় ৭ বছর পূর্বে জমি আছে ঘর নেই প্রকল্প থেকে সরকারি ঘর পেয়েছিল। সেই ঘরটি বাবার বাড়িতে তুলা হয়৷ তার নিজস্ব নামে যায়গা না থাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরের জন্য আবেদন করেছিল৷ ঘর পেলেও সে এখন ঐ ঘরে যাবে না, অন্য কাউকে দিয়ে দিবে৷
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম এর মোবাইলে একাধীকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।